নাসিরনগর টু অরুয়াইল রাস্তার কাজ চলমান
স্থানীয়দের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন এই রাস্তা কে ঘিরে,,,রাস্তাটি সম্পূর্ণ হলে যোগাযোগের উন্নয়নের সাথে সাথে উন্নতি হবে সর্বস্তরের জন সাধারণের।
প্রসারিত হবে অর্থনীতির চাকা। কৃষি নির্ভর এই ভাটি এলাকার কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে। যাতায়াতের অসুবিধার কারণে তাদের পরিশ্রমের ফসল শহরমুখী করতে না পারায় স্থানীয় দালালদের কাছে তাদের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে কৃষকরা তাদের আশানুরূপ মূল্য না পাওয়ায় বছরের বেশির ভাগ সময় বৃথা পরিশ্রমের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এছাড়া অন্যান্য খাতের সাধারণ ব্যাবসায়ী সহ সর্বস্তরের জনগণের ভোগান্তির অবসান ঘটবে এই প্রকল্পিত রাস্তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বলে আশা করছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
তারা জানিয়েছে রাস্তাটি প্রায় পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে বাস্তবায়ন হওয়ার ধারায় অব্যাহত থাকলেও আজ পর্যন্ত অতি দ্রুত সম্পূর্ণ হওয়ার মতো কোনো উদ্যোগ বা কার্যক্রম এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
রাজনৈতিক,অরাজনৈতিক নানা জটিলতায় মধ্য দিয়ে থেমে থেমে কাজের শেষ দেখার অধীর আগ্রহের কেন্দ্রে এখন সকলের চোখ।
শুরুতে রাস্তাটি বিশ্বব্যাংকের আওতাধীন থাকলেও পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৃশ্যমান হয়ে চলেছে উক্ত প্রকল্পটি।
প্রকল্পে কর্মরত কর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে যে , এটি একটি ত্রিবার্ষিক প্রকল্প।
কিন্তু হাওরের বর্ষার উত্তাল ঢেউ আর স্রোতের কবলে পড়ে একাধিক বার ব্যাপক ভাঙনের শিকার এই প্রকল্পটি বার বার বর্ষা শেষে নতুন করে শুরু করতে হয়েছে বলে প্রকল্পের মেয়াদ আরো দীর্ঘায়িত করার মধ্য দিয়ে প্রকল্পের নকশার মধ্যেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারই ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত ভাবে শুরু হওয়া এই রাস্তার কাজের আরো একধাপ এগিয়ে দৃশ্যমান হওয়ার পথে উক্ত রাস্তার সকল ব্রিজের কাজ সমান গতিতে এগিয়ে যাওয়ার হাসি ফুটেছে সুবিধাপ্রাপ্তির স্বপ্ন দেখা লাখো জনসাধরণের মুখে।
তাদের দাবি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করে তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিয়ে যেনো সারাদেশের সাথে তাদের যোগাযোগের পথ সুধীর করে দেওয়া হয়।